বিএনপির আমলে বছরে ৩১৭ ক্রসফায়ার-গুম, আ.লীগের সময়ে ১৮৭: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বিএনপির জন্ম হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে এবং তারাই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতি বছর ৩১৭ জনের বেশি ক্রসফায়ারে, গুম হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সংখ্যা ১৮৭।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্য ক্রসফায়ার-গুম-খুনে রাষ্ট্র অমানবিক হয়ে উঠছে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, অপরাধীরা অনেক সময় বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমাদের দল কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেনা।

তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির উত্থান। জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যুক্ত। বিএনপি যখন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন, তখনই ক্রসফায়ার চালু করে। অর্থাৎ, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই যাদের উন্মেষ ও প্রতিষ্ঠা, যারা দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা যখন এ ধরনের কথা বলে, তখন তা হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এবং করোনা মহামারিতে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সারা বিশ্বের সামনে মানবিকতার পরম উদাহরণ। বিএনপি এ ধরনের কোনো উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া চরম দায়িত্বহীনভাবে বলেছিলেন, যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত মারা যায়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ আশা করেছিল, করোনার এ সময়ে বিএনপি বাদানুবাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার আর বিষোদগারের রাজনীতি ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা মানুষের পাশেও দাঁড়ায়নি। করোনা মহামারির মধ্যে লোকদেখানো ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশনের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে।