ঢাবিসহ সব প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় সাত শর্ত ছাত্র ইউনিয়নের

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিভাগে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। আসন্ন জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটকে ‘সীমিত সামর্থ্য’ দিয়েই অনলাইনে শিক্ষা-কার্যক্রম চালুর অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে অনলাইন ক্লাস শুরু করার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাত দফা শর্ত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে আজ শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু করার আগে এসব শর্ত পূরণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম৷

ছাত্র ইউনিয়নের সাত দফা শর্ত হলো—বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাস করার যাবতীয় ইন্টারনেট খরচ দিতে হবে ও আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে হবে; যেসব শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করার মতো ডিভাইস নেই, তাঁদের চিহ্নিত করে ডিভাইস কেনার জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে; রাষ্ট্র ও টেলিকম অপারেটরদের সহযোগিতা নিয়ে সব শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে ডেটাবেইস তৈরি করতে হবে; প্রতিটি ক্লাস শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময়ে যেন ডাউনলোড করতে পারেন, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটসহ বিভাগ-ইনস্টিটিউটের ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল ও গুগল ড্রাইভে আপলোড করে মুক্ত অবস্থায় রাখতে হবে এবং শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে; ক্লাসে উপস্থিতির ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বা নম্বর রাখা যাবে না, এসব ক্লাসকে আনুষ্ঠানিক ক্লাস হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না; এবং, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাউন্সেলিং কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে হবে৷

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে সমাজে একটি চরম বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে অনলাইন ক্লাস শুরু করা হলে তা হবে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ, যা স্পষ্টতই শ্রেণিবৈষম্য তৈরি করে। একটি প্রগতিশীল ছাত্র-গণসংগঠন হিসেবে ছাত্র ইউনিয়ন তা কোনোভাবেই সহ্য করবে না।