শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিতে কিশোর নিহত

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রিয়াজ মাদবর (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভোলাই মুন্সিকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় চার ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভোলাই মুন্সিকান্দি গ্রামের মন্টু ব্যাপারী ও এমদাদ মাদবরের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। নিহত রিয়াজ চরধুপুর মালাই মাদবরকান্দি গ্রামের লিটন মাদবরের ছেলে। সে এমদাদ মাদবরের সমর্থক।

জাজিরা থানার পুলিশ সূত্র জানায়, মন্টু ব্যাপারী ও এমদাদ মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। প্রায়ই তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় অন্তত ২০টি মামলা আছে। মন্টু ব্যাপারী জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদারের সমর্থক আর এমদাদ মাদবর সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, গতকাল বিকেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে রিয়াজ মাদবর, দেলোয়ার মাদবর (৫৫), আবুল বাশার ব্যাপারী (৬৫), তানজিম আলম (২৩) ও রিমান মাদবর (২৮) গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজ মাদবরকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে এমদাদ মাদবর ও মন্টু ব্যাপারী এলাকা ছেড়েছেন। যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নিহত রিয়াজের বাবা লিটন মাদবর গবাদিপশু ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, রিয়াজ দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করত। গতকাল দুপুরে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রিয়াজ। পাশের গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সে সেখানে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আজহারুল ইসলাম, সেনেরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মন্টু ব্যাপারী ও এমদাদ মাদবরের মধ্য দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।