ময়মনসিংহে এক সপ্তাহে করোনা থেকে সুস্থ ৩২৯ জন

ময়মনসিংহে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সুস্থ হলেন ৩২৯ জন। গত কয়েক দিনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭৭ জন করোনায় আক্রান্তের বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৭১০ জন। সুস্থতার হার ৪০ শতাংশ।

আজ সোমবার নতুন করে ময়মনসিংহ সদরে ২৩ জন, নান্দাইলে ৯ জন, ত্রিশাল ও গফরগাঁও উপজেলায় ৪ জন করে এবং মুক্তাগাছা ও ফুলবাড়িয়ায় ১ জন করে করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম। তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ৩৭ জন বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৬২ জন হোম আইসোলেশনে এবং ৭৫ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন।

জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী সদর উপজেলায়। এই উপজেলায় ১ হাজার ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা জেলার মোট আক্রান্তের ৫৭ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। সদর বাদে বাকি ১২টি উপজেলা মিলিয়ে ৭৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

উপজেলাভিত্তিক হিসাবে সদরের পরেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ভালুকা উপজেলায়। এখানে ২২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া মুক্তাগাছায় ৮৩ জন, ঈশ্বরগঞ্জে ৭৩ জন, ত্রিশালে ৭১ জন, ফুলপুরে ৫৫ জন, গফরগাঁওয়ে ৫২ জন, হালুয়াঘাটে ৫১ জন, ধোবাউড়ায় ৪৮ জন, নান্দাইলে ৩৩ জন, ফুলবাড়িয়ায় ৩০ জন ও তারাকান্দায় ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ জন নিয়ে জেলায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত গৌরীপুর উপজেলায়।

সুস্থ হওয়ার তালিকাতেও সবচেয়ে এগিয়ে সদর উপজেলা। এখানে এ পর্যন্ত ৩৮১ জন সুস্থ হয়েছেন, যা জেলার মোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ। এর পরেই যথাক্রমে ঈশ্বরগঞ্জে ৬০ জন, ভালুকায় ৫৬ জন, ফুলপুরে ৩৯ জন, গফরগাঁওয়ে ৩৬ জন, ধোবাউড়ায় ২৯ জন, ত্রিশালে ৩০ জন, মুক্তাগাছায় ও তারাকান্দায় ১৪ জন করে, ফুলবাড়িয়ায় ১৯ জন, নান্দাইলে ১৭ জন, হালুয়াঘাটে ৮ জন ও গৌরীপুরে ৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা রোগীদের সুস্থ হওয়া প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম বলেন, যেসব উপজেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা কম, তাঁদের অধিকাংশই নতুন সংক্রমিত। তাঁদের সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। একবার ‘পজিটিভ’ হলে পরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনরায় তিন দফা নমুনা পরীক্ষা করার পর যদি তাঁর ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসে, তখন তাঁকে চূড়ান্তভাবে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করা হয়।