সাতক্ষীরায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

১৩ বছর বয়সী কিশোরীর বিয়ের আয়োজনের সব প্রস্ততি শেষ করে পরিবারটি। আজ সোমবার দুপুরেই ছিল বিয়ে। তবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নারী সদস্যের হস্তক্ষেপে মেয়েটি শেষ মূহূর্তে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার সদর উপজেলায়।

সাতক্ষীরা জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর হাসান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সাকিবুর হাসান জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) বিয়ের খবর তিনি জানতে পারেন। আজ বেলা দুইটার দিকে বিয়ে ছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে বেলা দেড়টার দিকে তিনি লাবসা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীদের বাড়িতে যান। গিয়ে দেখেন, ছাত্রীর বিয়ের তোড়জোড় চলছে। ছাত্রীর বাবার কাছে তাঁর মেয়ের জন্মের সনদপত্র দেখতে চান। জন্মের সনদপত্র নিয়ে আসলে দেখা যায়, ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর। পরে তাঁরা ছাত্রীর মা–বাবাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন।

সবকিছু জানার পর ছাত্রীর মা–বাবা মেয়েকে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন। এ সময় বরপক্ষের লোকজন কাউকে কিছু না বলে চলে যান।