লোকসমাগম করে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা, বাবার অর্থদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় অন্যের বাড়িতে নিজের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করেও রক্ষা পেলেন না এক বাবা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লোকসমাগম করে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টার দায়ে কনের বাবাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা দেবী পাল এই দণ্ডাদেশ দেন।

ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে উপজেলায় গোলাম রসুল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী সমাগম করে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক, বয়স ১৬ বছর। তবে মেয়েটি ওই বাড়ির কেউ না। প্রশাসনের নজর এড়াতে অন্য একজন তাঁর মেয়েকে ওই বাড়িতে এনে বিয়ে দিচ্ছিলেন।

খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করেন এবং লোকসমাগম করে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টার দায়ে কনের বাবাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। তবে কনের বাবা টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান। এ সময় উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, ‘একদিকে বাল্যবিবাহ, অন্যদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সামাজিক অনুষ্ঠান করায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।’