পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিল র্যাব

শামীমা নূর পাপিয়া। ফাইল ছবি
শামীমা নূর পাপিয়া। ফাইল ছবি

শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে র‌্যাব। ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সোমবার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে র‌্যাব।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে র‌্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল ‌তখন জানান, পাপিয়ার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম এবং ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট ও ২ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং নরসিংদী জেলায় 'কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন' নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। ধরা পড়ার পর পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তার পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীরা কারাগারে আছেন।
৫ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ টাকা অবৈধ আয়ের তথ্য পেয়ে সিআইডি গত ১১ মার্চ পাপিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে। মামলায় পাঁচ তারা হোটেলে দেওয়া ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল, ২০ লাখের বিনিয়োগ, ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট এবং পাপিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকার উল্লেখ করা হয়েছে।