দাউদকান্দিতে গর্তে দুই ট্রাক আটকে যান চলাচল বন্ধ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই এলাকায় পণ্যবোঝাই দুটি ট্রাক সড়কের গর্তে আটকে গেলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: আবদুর রহমান ঢালী
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই এলাকায় পণ্যবোঝাই দুটি ট্রাক সড়কের গর্তে আটকে গেলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: আবদুর রহমান ঢালী

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই এলাকায় হোমনাগামী পণ্যবোঝাই দুটি ট্রাক সড়কের গর্তে পাশাপাশি আটকে গেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে ঢাকা-গৌরীপুর-হোমনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পণ্যবাহী যানবাহনের চালক ও চালকের সহকারীরা।

ঢাকা থেকে হোমনাগামী ওষুধবোঝাই কাভার্ড ভ্যানের চালক মামুন শেখ, খাদ্যবোঝাই কাভার্ড ভ্যানের চালক সাদ্দাম হোসেন, সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের চালক মোশারফ হোসেন, হাসান মিয়া ও পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকের চালক নজরুল ইসলাম আজ বেলা ১১টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোর ছয়টার পর সড়কের পেন্নাই এলাকায় এসে আটকা পড়ি। দীর্ঘ সময় এক স্থানে আটকে থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। যথাসময়ে পণ্য নামিয়ে ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত। আবার সড়কে গাড়ি থামিয়ে টেনশনে ঘুমাতেও পারছি না। কখন বুঝি আবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ সময় আটকে থেকে খাবার, শৌচাগারসহ একাধিক সমস্যায় ভুগছি।’

ঢাকা থেকে হোমনাগামী বাসের চালক আবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় সড়কের পেন্নাই এলাকায় আটকে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে হয়েছে। আটকে পড়া গাড়ি দুটি না সরালে পুনরায় পার হওয়া সম্ভব হবে না।
রায়পুর গ্রামের কলেজশিক্ষক রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সড়কটি গর্তে ভরা। সড়কের ধারণক্ষমতার বাইরে গাছ ও অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল করতে গিয়ে গর্তে আটকে যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে একের পর এক এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মাছুম মিয়া বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সড়কের এ স্থানে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক আটকে যাওয়ায় কখনো দিনভর যানজট সৃষ্টি হয়। আবার কখনো যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশার চালকদের মালিকের জমার টাকা ওঠাতেই কষ্ট হয়।

দাউদকান্দির মলয় বাজারের ব্যবসায়ী রতন চন্দ্র দাস বলেন, সড়ক মেরামত না হওয়া পর্যন্ত গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপসহকারী প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘সড়কে ধারণ ক্ষমতা না থাকায় আমরা অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যান না চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু চালকেরা শুনছেন না। অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে এ সড়কে দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে আটকে গিয়ে যানগুলো অন্যদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।’ আটকে পড়া ট্রাক দুটি দ্রুত সরাতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।