মাদারীপুরে চিকিৎসক-পুলিশসহ আরও ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

মাদারীপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার আরও ৫৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক, পাঁচজন পুলিশ সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী, কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৯২ জনে। আজ বিকেলে জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৩ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত গত চারদিনে যাঁরা নমুনা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩৬২ জনের প্রতিবেদন এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। এতে নতুন করে শনাক্ত হন ৫৪ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। এ নিয়ে সদর উপজেলায় মোট শনাক্ত ২৮২ জন, যা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শনাক্ত।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা পীযুস চন্দ্র মণ্ডল, রাজৈর থানার দুজন পুলিশ সদস্যসহ নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১২ জন। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন।

শিবচর উপজেলায় নতুন করে ১০ জনসহ এই উপজেলায় ১২৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায়, হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্য, থানা পুলিশের এক সদস্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন কর্মী ও দুই ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন।

কালকিনি উপজেলায় গতকাল সোমবার কোনো শনাক্ত না হলেও আজ নতুন করে আরও ১৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। নতুন শনাক্তের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য, কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মী রয়েছেন। এ নিয়ে কালকিনি উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪৪ জন।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশি সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালটির বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
এ সম্পর্কে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, 'আজ নতুন করে বহির্বিভাগের এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছে। আর আগে আরও দুজন চিকিৎসক আক্রান্ত হন। উপজেলায় এখন তিনজন চিকিৎসক কোবিড–১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।' তিনি বলেন, 'হাসপাতালে সাধারণ মানুষের সেবা দিতে আমাদের নিয়মিত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। তবুও আমরা সব বিভাগ এখন পর্যন্ত চালু রেখেছি। বর্তমানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা প্রত্যেকে অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, 'আজ দুপুরে ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। এর মধ্যে ৫৪ জনের পজিটিভ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগকে বাসায় রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ২৯১ জন। এর বেশির ভাগই বাড়িতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।'