গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের পর পুরুষশূন্য নিজড়া গ্রাম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে করোনার মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের মামলায় নিজড়া গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নের নিজড়া গ্রামের সরদার বংশ ও মিনা বংশের মধ্যে গত ২৫ জুন এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা করোনার কারণে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে গত ২৫ জুন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করে।

নিজড়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির মিনার ভাষ্য, ‘নিজড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আজিজ সরদার করোনার মধ্যে তার বাবার নামে সোহরাব সরদার ৮–দলীয় ফুটবল টুনার্মেন্টের আয়োজন করেন। চেয়ারম্যান নিজেই এ খেলা পরিচালনা করেছেন। ঘটনার দিন আজিজ সরদার আমাকে মোবাইলে আমাদের লোকজনকে মাঠে আসতে বারন করেন। থানা থেকে খেলাধুলা বা জনসমাগম না করার জন্য বলেছে বলে চেয়ারম্যান আমাকে জানান। ঠিক এরপর পর মুহূর্তে দেখি মাঠে খেলা হচ্ছে। মাঠে চারপাশে অনেক লোক খেলা দেখছেন। আমি তখন চেয়ারম্যানকে মোবাইলে বলি আমাদের নিষেধ করলেন। আর আপনার বংশের লোকজন ফুটবল খেলছেন। তখন আজিজ সরদার ও তার ভাই আমাদের বাড়ি এসে আমার ভাতিজা নুরইসলামসহ আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। করোনার মধ্যে জনসমাগম এড়ানোর জন্য টুনার্মেন্ট বন্ধের কথা বলা হলেও আপনাদের লোকজন খেলছে। আমাদের লোকজন আসতে নিষেধ করা হলো। এ বিষয় জানতে চাইলে ওই সময় আজিজ সরদারের ছোট ভাই ফুলমিয়া সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা টুনার্মেন্ট দিয়েছি আপনাদের কাছে শুনে দিতে হবে নাকি অনুমতি নিয়ে খেলতে হবে।’ এরপর নুর ইসলাম তার ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ করে মিনার। পরে খবর পেয়ে মিনা বংশের লোকজন আসলে দুই পক্ষের সংর্ঘষ হয়। এতে মিনা বংশের ১৫ জন আহত হয় । এ ঘটনায় মিনা বংশের অধিকাংশ পুরুষ গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে থাকছেন না।

নিজড়া ইউপির চেয়ারম্যান সরদার আজিজ তার বাবার নামের ফুটবল টুর্নমেন্টের আয়োজনের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘গত ২৫ জুন এলাকার ছোটরা দুই দলে ভাগ হয়ে নিজড়া স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলছিল। তখন তাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালাউদ্দিন বলেন, ‘সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এ মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।’