শেরপুর সদর থানার ওসির কোভিড শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁকে নিয়ে জেলায় মোট ২৬ জন পুলিশ সদস্য কোভিডে আক্রান্ত হলেন। সব মিলিয়ে জেলায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪৮। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২০১ জন। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এসব তথ্য জানান।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মমেকের পরীক্ষাগারে শেরপুর জেলার ৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুনের করোনা পজিটিভ হয়। তিনি থানার সরকারি বাসায় আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) আছেন। আগামীকাল শনিবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মোবারক হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইউএইচএফপিও মোবারক হোসেন বলেন, জেলায় কোভিড সংক্রমণের শুরু থেকেই ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছিলেন। বিশেষ করে কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে মানবিক সহায়তাসহ করোনার বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ৫ এপ্রিল প্রথম দুই নারীর করোনা শনাক্তের পর তিন মাসে জেলায় ২৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় সামাজিক সংস্পর্শের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই করোনার বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জেলাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদরে ১০২, নকলায় ৪৭, নালিতাবাড়ীতে ৫৩, ঝিনাইগাতীতে ২৫ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ২১ জন রয়েছেন।