নীলফামারীতে ৪ চীনা নাগরিক কোভিড আক্রান্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেডের একটি কারখানায় কর্মরত চারজন চীনা নাগরিক কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫৩ জনে। এদিকে ১ জুলাই কোভিড–১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে অবশেষে সৈয়দপুরের মৃতদের তালিকায় যোগ করা হয়েছে। এর ফলে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাতজনে। 

সিভিল সার্জন রনজিত কুমার বর্মন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নতুন করে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। চারজনই চীনা নাগরিক।

শিক্ষকের নাম সৈয়দপুরের মৃতদের তালিকাভুক্ত করা প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম আবদুর রাজ্জাক (৮৫)। তিনি সৈয়দপুর শহরের টেকনিক্যাল কলেজ পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কোভিড–১৯ রোগীদের জন্য নির্ধারিত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জুলাই বুধবার মারা যান। তাঁর বাড়ি দুই জায়গায়— রংপুর ও সৈয়দপুরে। এ কারণে তাঁকে কোন এলাকার তালিকায় ধরা হবে এ নিয়ে কিছু দ্বিধা–দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তবে যেহেতু তিনি সৈয়দপুর থেকে নমুনা দিয়েছেন, তাই তাঁকে এই উপজেলার তালিকভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নতুন করে আক্রান্ত চার চীনা নাগরিক উত্তরা ইপিজেডের ম্যাজেন (বিডি) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় কর্মরত। এর আগে গত ২৯ জুন উত্তরা ইপিজেডের ওই কারখানার একজন চীনা নাগরিক ও ২২ জুন একই কারখানার একজন কর্মকর্তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।


জেলায় পরীক্ষার জন্য মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৯টি। ফলাফল পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৭১টির।