লকডাউনের সুফলে 'রেড' থেকে 'ইয়েলো' জোনে দুই ওয়ার্ড

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২১ দিন ‘রেড জোন’ (লাল তালিকাভুক্ত এলাকা) ছিল নরসিংদীর মাধবদীর দুটি ওয়ার্ড। পুরো সময়টা লকডাউন (অবরুদ্ধ) রাখার সুফল মিলেছে। সংক্রমণ কমে যাওয়ায় দুটি এলাকাকে ‘ইয়েলো জোন’ ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার থেকে মাধবদী পৌরসভার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ বিরামপুর এলাকার লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়। প্রথম আলোর কাছে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।

জেলা প্রশাসন বলছে, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মাধবদী পৌরসভার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডকে গত ১১ জুন মধ্যরাত থেকে রেড জোন ঘোষণা দিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হয়। লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে ১৮ জন করোনা রোগী থাকলেও পরে আরও ৫ জন সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন। প্রথম দফায় ১৪ দিন ও দ্বিতীয় দফায় আরও ৭ দিন বাড়িয়ে মোট ২১ দিনের লকডাউন কার্যকর করা হয়। মোট সংক্রমিত ২৩ জনের মধ্যে ২০ জন সুস্থ হওয়ায় ওয়ার্ড দুটিকে ইয়েলো জোন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে লকডাউনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকা দুটি ঘুরে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক। এ সময় তাঁদের হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পরে মাধবদী পৌরসভায় এক মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন ও মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘লকডাউনের সময়টাতে নতুন করে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে ছিল, এ ছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন সংক্রমিত ব্যক্তিরা। বর্তমানে সংক্রমিত ৩ জনকে আগামী রোববার সুস্থ ঘোষণা করার আশা করছি আমরা। তাহলে ওই এলাকা দুটিকে গ্রিন জোন ঘোষণা করা সম্ভব হবে।’