ফরিদপুরে চিকিৎসক, পুলিশসহ আরও ১১৬ জনের কোভিড শনাক্ত

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাবের চিকিৎসক, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ১১৬ জনের করোনভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে গতকাল শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানা গেছে। 

এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় মোট কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ২৫৩।

গতকাল শুক্রবার এ ল্যাবে মোট ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হয়নি ২২০ জনের। ইনভেলিড (নষ্ট) হয়েছে তিনটি। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ।


এর মধ্যে ফরিদপুরের ৯টি ফলোআপসহ মোট ১২৫ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। তার মানে ফরিদপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১১৬ জনের। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ফলোআপসহ ২৭ এবং মাদারীপুরের ১ জন রোগী রয়েছেন।

ফরিদপুরে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত কোভিড শনাক্তকরণ ল্যাবের একজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া একজন উপপরিদর্শকক (এসআই), গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং র‌্যাব-৮ ফরিদপুরের এক সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া চারজন স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সিং ইনস্টিটিউটের তিন সদস্য, ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মী ও পল্লী বিদ্যুতের এক সদস্য রয়েছেন।

ফরিদপুরে নতুন করে যে ১১৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৭৬ জন, ভাঙ্গায় ১৫ জন, বোয়ালমারীতে ১০ জন, চরভদ্রাসনে ৪ জন, নগরকান্দা ও আলফাডাঙ্গায় ৩ জন করে, মধুখালী ও সালথায় ২ জন করে এবং সদরপুরে ১ জন রয়েছেন।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ থেকে ২০ বছরের ১৪ জন, ২১ থেকে ৪০ বছরের আছেন ৫৩ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের ৩৫ জন এবং ৬১ থেকে ৮০ বছরের ১১ জন এবং ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন ৩ জন। তাঁদের ৩৪ জন নারী ও পুরুষ ৮২ জন ।

গতকাল পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ২ হাজার ২৫৩ জনের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ১ হাজার ৫৭ জন, ভাঙ্গায় ৩৪৮ জন, বোয়ালমারীতে ২৬৫ জন, সদরপুরে ১৩৮ জন, নগরকান্দায় ১৩৮ জন, চরভদ্রাসন ৯৬, মধুখালীতে ৭২ জন, সালথায় ৭১ জন ও আলফাডাঙ্গায় ৬৮ জন রয়েছেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘ফরিদপুরের অধিবাসীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে আক্রান্তের হার কমবে না। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।’

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার শনাক্তের হার অনেক বেশি। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক শূন্য ২। এ অবস্থাই বলে দেয় আমরা কতটা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছি।’