ধরমপাশা ইউএনওর কার্যালয়ের তিনজন কর্মী করোনায় সংক্রমিত

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায় নতুন করে চারজন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইউএনওর কার্যালয়ের দুজন সিএ (গোপনীয় সহকারী) কাম ইউডিএ ও একজন অফিস সহকারী রয়েছেন। 

এ নিয়ে উপজেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২৩। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন করোনাজয় করে সুস্থ হয়েছেন। তবে নমুনা দেওয়া ২৩ জনের ফলাফল এখনো ঝুলে রয়েছে। ফলে করোনার ফলাফল না পাওয়া মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। দেরিতে ফলাফল পেতে গিয়ে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন পাঁচজনের নমুনা ও গত ৩০ জুন ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ময়মনসিংহে করোনা পরীক্ষার ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ২৩ জনোর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনো এসে পৌঁছায়নি। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার নয়জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ই-মেইলের মাধ্যমে ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঝন্টু সরকারকে জানানো হয়েছে, এই নয়জনের মধ্যে চারজনের করোনার পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। নতুন করে আক্রান্ত চারজনের শরীরে করোনার কোনো রকম উপসর্গ নেই।

নতুন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে ইউএনও কার্যালয়ের সিএ কাম ইউডিএ (৩২), সিএ কাম ইউডিএ (৪০), অফিস সহকারী (৪২) ও অপর একজন পুরুষ (৪৫) রয়েছেন। তাঁদের রাতেই হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, করোনা পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত সময়ের মধ্যে না পেলে নমুনা দেওয়া লোকজনকে চরম অস্থিরতার মধ্যে সময় কাটাতে হয়। পাশাপাশি করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টির ওপর সুনজর দেওয়া প্রয়োজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঝন্টু সরকার বলেন, এ উপজেলায় নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে মোট ২৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত চারজনকেই বাড়িতে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) থাকতে বলা হয়েছে। তবে এ উপজেলায় ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনো আসেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির হাসান গতকাল রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার কার্যালয়ের দুজন সিএ কাম ইউডিএ ও একজন অফিস সহকারী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই তিনজনকেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। যেহেতু আমার কার্যালয়ের তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাই অধিক সতর্কতার সঙ্গে বিকল্প পদ্ধতিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।’