নওগাঁয় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লাশ দাফনের পর করোনা শনাক্ত

নওগাঁয় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে লাশ দাফনের পর। দাফনও হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই। আজ শনিবার নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট আটজনের মৃত্যু হলো।

মৃত ব্যক্তির নাম হারুন দফাদার (৫৫)। তিনি নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা। করোনার উপসর্গ নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। আজ শনিবার সকালে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে দাফন করা হয়।

সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হারুন দফাদার নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তাঁর করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ (৪ জুলাই) সকালে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। দুপুরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

আজ বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার থেকে আসা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে হারুন দফাদারের করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন করোনায় আক্রান্ত হারুন দফাদারের বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি মারা গেছেন এবং তাঁর লাশ দাফন করা হয়ে গেছে।

সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘মৃত ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। কারণ, নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ বিকেলে যখন গোয়ালা গ্রামের হারুন দফাদার নামের একজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট আসে, তখন আমরা বিষয়টি জানতে পারি।’