নীলফামারীতে চীনের নাগরিকসহ এক কারখানার ৮ জন কোভিডে আক্রান্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নীলফামারীতে চীনের এক নাগরিকসহ নতুন করে ১৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোটা জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬৬। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৭৭ জন। মারা গেছেন ৭ জন।

গতকাল শুক্রবার রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ওই ১৩ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রতিবেদন আসে।
নতুন করে করোনা পজিটিভ ১৩ জনের মধ্যে জেলা সদরের উত্তরা ইপিজেডের ম্যাজেন (বিডি) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় কর্মরত এক চীনাসহ ৮ জন, জলঢাকা উপজেলায় ৪ জন ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রমতে, এ নিয়ে গোটা জেলায় মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬৬। এর মধ্যে জেলা সদরে ১২৩ জন, জলঢাকা উপজেলায় ৭২ জন, ডিমলা উপজেলায় ৫১ জন, সৈয়দপুর উপজেলায় ৫১ জন, ডোমার উপজেলায় ৪০ জন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২৯ জন।

এদিকে জেলায় যে ২৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নীলফামারী সদরের ৯২ জন, ডোমারের ৩৩ জন, ডিমলার ৪৫ জন, জলঢাকার ৪৭ জন, কিশোরগঞ্জের ২১ জন এবং সৈয়দপুরে ৩৯ জন।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের এক ব্যক্তি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর এবং সৈয়দপুর উপজেলার এক ব্যক্তি উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

নীলফামারী জেলা সদরের দুই ব্যক্তি নমুনা দেওয়ার পর কোভিড উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পরে তাঁদের করোনা পজিটিভ ফল আসে। জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নে এক নারীসহ দুজন করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। এবং করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর রংপুর করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দপুর উপজেলা শহরের এক ব্যক্তি।

জেলায় পরীক্ষার জন্য মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৫৬টি। ফলাফল পাওয়া গেছে ৩ হাজার ১৮০টি নমুনার।

কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ১০৮টিসহ জেলায় মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৯৮টি।

সিভিল সার্জন রনজিত কুমার বর্মন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া পরীক্ষার ফলাফলে জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬৬ জন। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭৭ জন, মারা গেছেন ৭ জন।