নওগাঁয় সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ২৪ জনের কোভিড শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নওগাঁয় নতুন করে ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন করে সাংবাদিক, নার্স ও মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮৪। আজ সোমবার সকালে নওগাঁর সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাব থেকে নওগাঁয় ২০১টি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল ই-মেইলে আসে। এর মধ্যে ২৬ জন করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। এর মধ্যে দুজন আগে আক্রান্ত কোভিড রোগীর দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা ২৪ জন। এর মধ্যে নওগাঁ জেলা সদরে কর্মরত একজন সাংবাদিক, সদর হাসপাতালের একজন নার্স এবং সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৫ জন, সাপাহারে ৬ জন, মহাদেবপুরে ৩ জন, বদলগাছীর ৪ জন, পোরশায় ২ জন, পত্নীতলার ২ জন, ধামইরহাট ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মুর্শেদ বলেন, নতুন আক্রান্ত ২৪ জনের অধিকাংশের শরীরেই জটিল কোনো উপসর্গ নেই। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থেকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পরে কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাঁদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

জেলায় প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ২৮৮টি নমুনার পরীক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৮৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৯৪ জন। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন।

এদিকে, নওগাঁয় নমুনার ফল পাওয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে সাত থেকে আট দিন সময় লাগছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২, ৩ ও ৪ জুলাইয়ে সংগ্রহ করা ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনো সেগুলোর ফলাফল পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আরও প্রায় ৩০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যেগুলো আজ ল্যাবে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, নওগাঁয় কোনো পিসিআর ল্যাব না থাকায় ঢাকা, বগুড়া ও রাজশাহীর বিভিন্ন ল্যাবে নমুনা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সেসব ল্যাবের সক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা সংগৃহীত হওয়ায় পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে।