রাজবাড়ীতে দুটি ব্যাংক ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা, তিন দিনেই প্রত্যাহার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের রাজবাড়ীর প্রধান শাখা কার্যালয় দুটিতে গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল রোববার থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়। কিন্তু দুপুরেই নতুন চিঠি দেওয়া হয়। তাতে ব্যাংক বন্ধ না রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলা হয়।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের শাখাটি শহরের কাপড়বাজার মোড়ে ও ইসলামী ব্যাংকের শাখাটি শহরের স্টেশন রোডে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। ওই দুই কার্যালয়ের ১৮ কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হন।

আরও কয়েকজনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানান। এরপর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি আলোচনা করে কার্যালয় দুটি ১৪ দিনের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সদরের ইউএনও ও সদস্যসচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরসংবলিত একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে আগামী ১৪ দিন ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়। শুধু রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজ চালু রাখতে বলা হয়। কিন্তু রোববারের চিঠিতে কার্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সঞ্জয় কুমার তালুকদার বলেন, ‘আমাদের শাখায় সাতজনের করোনা পজিটিভ এবং চারজনের উপসর্গ রয়েছে। ১৪ দিন আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রোববার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়।’

সদরের ইউএনও মো. সাঈদুজ্জামান খান বলেন, ব্যাংক দুটি বন্ধ রাখার শব্দটি তুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়। কারণ, স্থানীয় প্রশাসন ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারে না।

সিভিল সার্জন মো. নুরুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ীতে ব্যাংকের প্রধান শাখা বন্ধ রাখায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছিল। ছোট শাখায় বেশি চাপ পড়ছিল। এ কারণে বাস্তবতা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।