বাড়ছে যমুনার পানি, আবার বন্যার শঙ্কা

বানের পানি নামতে শুরু করায় গত বৃহস্পতিবার একটি পরিবারকে গবাদিপশু নিয়ে নৌকায় করে বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়। কিন্তু রোববার যমুনার পানি নতুন করে বেড়ে যাওয়ায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
বানের পানি নামতে শুরু করায় গত বৃহস্পতিবার একটি পরিবারকে গবাদিপশু নিয়ে নৌকায় করে বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়। কিন্তু রোববার যমুনার পানি নতুন করে বেড়ে যাওয়ায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনার পানি বাড়ায় ইসলামপুরের চিনাডুলী, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, বেলগাছা, সাপধরী ইউনিয়ন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহদুরাবাদ ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এক রাতের মধ্যে ৩২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ৮ ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে পাটসহ বিস্তীর্ণ জমির ফসলের খেত। অনেক গ্রামেই অল্প পানি ছিল। দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়ায় নতুন করে আবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছে মানুষ। এসব গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়িতে ফিরে গিয়েছিল। নতুন করে ঘরবাড়ি মেরামত করেছিল। এর মধ্যে আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়া চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ওই আট ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, এই ইউনিয়ন নদীতীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। প্রথম দফায় পুরো ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। পরে কিছুটা পানি কমলেও সব গ্রাম থেকে পানি সরে যায়নি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার থেকে নতুন করে আবার গ্রামগুলোতে পানি ঢুকছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে আবার বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে।