বন্যায় জামালপুরে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

বন্যায় পানিবন্দী মানুষ। নতুনপাড়া গ্রাম, নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলা, জামালপুর, ১৩ জুলাই। ছবি: আব্দুল আজিজ
বন্যায় পানিবন্দী মানুষ। নতুনপাড়া গ্রাম, নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলা, জামালপুর, ১৩ জুলাই। ছবি: আব্দুল আজিজ

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। দ্বিতীয় দফার বন্যায় জামালপুরে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যার। ইতিমধ্যে সাতটি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সোমবার দুপুরে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফার বন্যায় জেলার সাতটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৩ জন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। আর খোলা হয়েছে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র।

সরেজমিন বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবে আগে থেকে কর্মহীন ছিল মানুষ। এর সঙ্গে বন্যা যোগ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যাকবলিত মানুষ। তাদের ঘরে পর্যাপ্ত খাবার নেই। অনেকে খাবারের অভাবে চিড়া-মুড়ি খেয়েও থাকছে। দুর্গত এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র, সেতু ও উঁচু স্থান যেতে শুরু করেছে। বানের পানিতে কারও কারও বাড়িঘর ভেসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপের নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী বলেন, বন্যার্ত মানুষের জন্য এরই মধ্যে সারা জেলায় ৩১০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।