সিলেটের সীমান্তের দুই নদী সারী ও লোভার পানি কমছে

সীমান্ত থেকে নেমে আসা সিলেটের সারী ও লোভা নদীর পানি কমছে। এর মধ্যে সারীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। তবে প্রধান দুই নদী সুরমা-কুশিয়ারার পানি একদিকে কমলেও আরেক দিকে বাড়ছে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জসহ দুটো পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

আজ মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে এবং গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নদ–নদীর পানিপ্রবাহ পরিমাপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ওপারে ভারী বর্ষণ হলে সীমান্তের নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামে সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারাসহ অন্য নদীতে। তা না হলে নদীর পানি সহনীয় পর্যায়ে থাকে।

সিলেটের সুরমা নদীর দুটি পয়েন্ট, কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্ট, সীমান্ত থেকে নেমে আসা সারী ও লোভা নদীর দুটি পয়েন্টসহ মোট আটটি পয়েন্টে প্রতিদিন পাঁচবার পানিপ্রবাহ পরিমাপ করে পাউবো। বন্যা পরিস্থিতিতে পাউবো সিলেট ‘ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডাটা’ হিসেবে প্রতিদিন পাঁচ বেলা প্রচার করে। এতে দেখা গেছে, গত ১২ ঘণ্টায় সিলেটের সুরমা ছাড়া বাকি সব নদীর পানি কমেছে। এর মধ্যে সারী ও লোভা নদীর পানি বেশি কমেছে।

সারী নদী সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা হয়ে অন্য উপজেলার নদ–নদীর সঙ্গে মিশেছে। সারীধাট এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে পানি। আজ দুপুর ১২টায় সেখানে পানি ১১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সারী নদীর বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যায় ১২ দশমিক ৩৪, আজ সকাল ছয়টায় ১২ সেন্টিমিটার ছিল।

লোভা নদী কানাইঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে মিশেছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় থেকে লোভাছড়া হয়ে নদীটি দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি সুরমায় বাড়ে। লোভাছড়ায় লোভার পানি ১৪ দশমিক ৬৮ থেকে নেমে আজ দুপুর ১২টায় ১৪ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জকিগঞ্জের অমলসিদ, বিয়ানীবাজারের শেওলা, মৌলভীবাজারের শেরপুর ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয়। চারটি পয়েন্টের মধ্যে শেরপুর ও অমলসিদ পয়েন্টে পানি কমছে। শেরপুরে ৮ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার থেকে দশমিক ২ সেন্টিমিটার কমেছে। অমলসিদেও দশমিক ২ সেন্টিমিটার কমে ১৫ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া পানি বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ, শেওলা পয়েন্টে। শেওলায় ১২ দশমিক ৬৭ থেকে ১২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জে ৯ দশমিক ৮৯ থেকে ৯ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার হয়েছে।

সুরমা নদীর পানি দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার থেকে নেমে ১৩ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।