হাতিয়ায় র‍্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' জলদস্যু সর্দার নিহত

নোয়াখালীর হাতিয়ায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক জলদস্যু সর্দার নিহত হয়েছে। তাঁর নাম বাহার উদ্দিন ওরফে বাহার ডাকাত (৪২)। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের আচকার বাজার সংলগ্ন সূর্যমুখী খালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চার জলদস্যুকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে দেশীয় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‍্যাব-১১ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর ভাষ্য, হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সূর্যমুখী খালে একদল জলদস্যু অস্ত্রশস্ত্রসহ সাগরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ সদর দপ্তর ও লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের একটি দল যৌথ অভিযান চালায়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা অতর্কিতে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় র‍্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০-১২ মিনিট গোলাগুলির পর চারজন জলদস্যু অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় এবং একজনকে গুলিবিদ্ধ ও মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য জলদস্যু ও স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে বাহার ডাকাত হিসেবে শনাক্ত করেন। আহত বাহারকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বাহারের বাড়ি হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গোলাগুলির ঘটনায় পিসি নেওয়াজ ও এএসআই জাকির নামের র‍্যাবের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আটক জলদস্যু দলের সদস্যরা হলেন মো. আলা উদ্দীন (৪৮), মো. ইউসুফ মাঝি (৪৫), মো. মুরাদ (৩০) ও মো. সান্ত শেখ (২৫)। তাঁদের হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

তিন বছর আগে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্রসহ বাহারকে র‍্যাব-১১ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। এরপর জামিনে বের হয়ে তিনি আবারও মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে জেলেদের নৌকায় ডাকাতি শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কৃষ্ণ কান্তি দাস জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত জলদস্যুদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।