মার্শাল আর্ট-কন্যা সান্ত্বনাকে সঞ্চয়পত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী

লালমনিরহাটের মার্শাল আর্ট–কন্যা সান্ত্বনা রানী রায়ের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১০ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র তুলে দিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাটের মার্শাল আর্ট–কন্যা সান্ত্বনা রানী রায়ের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১০ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র তুলে দিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ছবি: সংগৃহীত

মার্শাল আর্ট–কন্যা সান্ত্বনা রানী রায় দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আর্থিক সমস্যা থাকায় তিনি সহায়তা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ১০ লাখ টাকার একটি ‘পরিবার সঞ্চয়পত্র’ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে ওই সঞ্চয়পত্র সান্ত্বনা রানীর হাতে তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সান্ত্বনা রানীর বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর হরিদাস গ্রামে। প্রত্যন্ত এলাকার মেয়ে সান্ত্বনা দেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় দশটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন। খেলাধুলায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারলেও তাঁর পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে পারেননি তিনি।

সান্ত্বনা রানী রায় বলেন, ‘গত ১৫ মার্চ আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কথা তুলে ধরে একটি আবেদন করি। প্রধানমন্ত্রী আমার আবেদন পেয়ে আমাকে ১০ লাখ টাকার একটি ‘পরিবার সঞ্চয়পত্র’ দিয়েছেন। এ জন্য আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আজীবন ঋণী ও কৃতজ্ঞ থাকব।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে সান্ত্বনা রানী উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইংয়ে অনুষ্ঠিত ২০তম বিশ্ব তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পান। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁর উত্তর কোরিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। ওই সময় তাঁর এই সমস্যা তুলে ধরে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর অনেকে তাঁকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। তাঁদের সহায়তায় তিনি উত্তর কোরিয়া গিয়ে তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সান্ত্বনা সেখান থেকে ব্রোঞ্জ পদক জিতে দেশে ফিরে আসেন। এ ছাড়া লালমনিরহাট তায়কোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে তিনি সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রতিষ্ঠিত দেশের তরুণদের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’–এর জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড–২০১৮ অর্জন করেন।