৩৬ মণের 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড', দাম হাঁকাচ্ছেন ২০ লাখ

বর্তমানে ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুটের বেশি, উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, ওজন ৩৬ মণ। ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার কারে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মালিক হলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং এলাকার মো. শরিফ ঢালী।
বর্তমানে ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুটের বেশি, উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, ওজন ৩৬ মণ। ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার কারে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মালিক হলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং এলাকার মো. শরিফ ঢালী।

ছিপছিপে কালো বর্ণের ষাঁড়টির শরীরের আকারে সন্তুষ্ট হয়ে ভালোবেসে মালিক নাম দিয়েছেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুটের বেশি, উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, ওজন ৩৬ মণ। ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মালিক হলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং এলাকার মো. শরিফ ঢালী।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য শরিফ ঢালী ষাঁড়টির দাম হেঁকেছেন ২০ লাখ টাকা। গরুটি দেখতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় জমছে তাঁর বাড়িতে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরিফ ঢালী (৬০) সাড়ে বছর চার আগে সরকারিভাবে ব্রাহমা জাতের সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে তাঁর পালিত গাভি থেকে জন্ম নেয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড। জন্মের পর ষাঁড়টির ওজন ছিল প্রায় দুই মণ। এরপর দেশীয় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরুটি মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রয়োজনমতো খাবার ও পরিচর্যায় গরুর আকৃতি বাড়তে থাকে। ষাঁড়টি ছিপছিপে কালো হওয়ায় আদর করে নাম দেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড। দিনে দিনে ওজন বেড়ে গরুটি ৩৬ মণে এসে দাঁড়ায়।

ব্ল্যাক ডায়মন্ডের খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি ও ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা, আলু, কলা, কাঁঠাল ও খুদে ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক মণ খাবার খায়। এতে খরচ হচ্ছে ৮০০ টাকা। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে বাড়তে থাকে। বর্তমানে গরুটির ওজন প্রায় ৩৬ মণ।

শরিফ ঢালী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের গরু লালন-পালন খুবই ব্যয়বহুল ও কষ্টের। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে আমরা গরুটি পালন করেছি। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন নিয়ে বড় করেছি। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। গরুটিকে দেখভাল করার জন্য আলাদা করে বছরব্যাপী মানুষ কাজে রাখতে হয়েছে। সাড়ে ৪ বছরে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ২০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে চান শরিফ ঢালী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে দুটি মোটা দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে ষাঁড়টি। আর এটিকে দেখতে বাড়িতে মানুষ ভিড় জমিয়েছে।

সোহেল নামের এক যুবক বলেন, সরকারিভাবে প্রতিটি এলাকায় ব্রাহমার সিমেন দেওয়া হলে উন্নত জাতের এ পশু পালনের মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান হবে। যুবকেরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। একদিকে দেশে মাংসের জোগান বাড়বে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতাও আসবে।

টঙ্গিবাড়ী ভেটেরিনারি সার্জন মো. কামরুল হাসান সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় কোরবানিকে কেন্দ্র করে যেসব পশু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে শরিফ ঢালীর ব্ল্যাক ডায়মন্ডটি সবচেয়ে বড়। তাই যাঁরা কোরবানির জন্য বড় ও ফ্রেশ পশু চান, তাঁরা ব্ল্যাক ডায়মন্ড নিতে পারেন। তিনি বলেন, এ পশু পালন খুব লাভজনক। মাংসও সুস্বাদু। তাই এর চাহিদা খুব বেশি হবে। ব্রাহমা জাতের কয়েকটি পশু পালনের মাধ্যমে যে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।