বরকত ও রুবেল সিআইডির হেফাজতে

ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত
ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার ভোরে সিআইডির একটি দল ওই দুই ভাইকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে ঢাকার মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করে সিআইডি। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। সিআইডি এ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ১৩ জুলাই এ রিমান্ডের ভার্চ্যুয়াল শুনানি হয়। ফরিদপুর কারাগারে থাকা অবস্থায় ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার আবদুর রহিম বলেন, তাঁদের জিম্মায় থাকা সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজকে রোববার ভোরে তাঁদের কাছ থেকে বুঝে নেয় সিআইডির একটি দল।

সিআইডির ওই মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫–এর ৪(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।

গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

ফরিদপুরে সরকারি দপ্তরের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সরকারি জমি দখলসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। গত ৭ জুন রাতে ওই হামলা মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ, ইমতিয়াজসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।