জামালপুরে যমুনার পানি আবার বেড়েছে

রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি জলমগ্ন। লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ধানাটা গ্রামে। ছবি: আবদুল আজিজ।
রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি জলমগ্ন। লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ধানাটা গ্রামে। ছবি: আবদুল আজিজ।

জামালপুরে যমুনার পানি আবার বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠ দীর্ঘ সময় ধরে জলমগ্ন রয়েছে। খাবারের সংকটসহ নানা দুর্ভোগে রয়েছেন বানভাসি প্রায় ১০ লাখ মানুষ। 


পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুল মান্নান আজ দুপুরে বলেন, ৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

দুর্গত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা আগের মতোই পানিবন্দী। পানি বাড়ায় জেগে থাকা কিছু কিছু রাস্তাঘাট আবার জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। বন্যার কারণে তাঁরা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে কর্মহীন। ফলে তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়ার উপায় বেশির ভাগ বানভাসির নেই। অনেকেই গবাদিপশুর সঙ্গে ছাপরা ঘর তুলে থাকছেন। ফলে ওই সব স্থান নোংরা। অনেকের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। অনেক বানভাসির হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগও দেখা দিয়েছে। এসব বানভাসির মধ্যে তীব্র খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফার বন্যায় সাতটি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। একই সঙ্গে আটটি পৌরসভাও বন্যাকবলিত হয়েছে। ওই ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬৭৭টি গ্রামের ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৭ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ হাজার ১৮৫ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।