কুলাউড়ায় 'অনলাইন স্কুলের' যাত্রা শুরু

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অনলাইন স্কুলের উদ্বোধন হয়েছে বৃহস্পতিবার। ছবি: প্রথম আলো
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অনলাইন স্কুলের উদ্বোধন হয়েছে বৃহস্পতিবার। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চার মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে। এ অবস্থায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ স্লোগানে ‘অনলাইন স্কুলের’ যাত্রা শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। উপজেলা প্রশাসনসহ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুলাউড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্যপ্রদীপ ভট্টাচার্য, উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান, বশিরুল হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল কাইয়ুম, রাবেয়া আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সালাম, গণমাধ্যমকর্মী এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, মাহফুজ শাকিল প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও ফরহাদ চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন স্কুলের উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। আপাতত পঞ্চম ও দশম শ্রেণি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাস চলবে। রুটিনও হয়ে গেছে। বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস আগে রেকর্ড করা হবে। এরপর রুটিন অনুযায়ী তা প্রচার করা হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির কিছু বিষয়ের ক্লাস রেকর্ড করা হয়েছে। সেগুলো এখন চলবে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত অনলাইন স্কুলের কার্যক্রম চলবে। ঈদুল আজহার পর ১০ আগস্ট থেকে সব শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। এ ব্যাপারে ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান সফি আহমদ বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কুলাউড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। তাই উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একই প্ল্যাটফর্মে রেখে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে সন্তানদের মনোনিবেশে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে মাইকিং করে প্রচারণাও চালানো হবে।