যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে

বগুড়ার শেরপুরে বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। বাজার থেকে সংসারের নিত্যপণ্য কিনে নৌকার করে বাড়িতে ফিরছেন মানুষ। উপজেলার শালফা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো
বগুড়ার শেরপুরে বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। বাজার থেকে সংসারের নিত্যপণ্য কিনে নৌকার করে বাড়িতে ফিরছেন মানুষ। উপজেলার শালফা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

বগুড়ায় অতিবর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি আবারও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর বাঙ্গালী নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দুই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর বিপৎসীমা নির্ধারিত ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে ১৭ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, অর্থাৎ বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ ১৭ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। আর বাঙ্গালী নদীতে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৫ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে পানি রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা বলছে, যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ১৫৮টি গ্রামের ৩১ হাজার ৮৩৬ পরিবারের ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী। পানিতে নিমজ্জিত কৃষকের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির পাট-ধান, বীজতলাসহ আবাদি ফসল। বানভাসি প্রায় ৩ হাজার পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ ও চরের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।