সিলেটের দুজনসহ চক্রের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

লিবিয়ায় মানব পাচারের মামলায় সিলেটের স্থানীয় দুই ট্রাভেল ব্যবসায়ীসহ আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আহমদের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম খান।

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন সিলেটের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজ নামের ট্রাভেল এজেন্সির পরিচালক এনামুল হক তালুকদার, ব্যবস্থাপক জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, নোয়াখালীর মনজুর হোসেন, ইয়াকুব হোসেন ও লিবিয়াপ্রবাসী নাসির উদ্দিন। অভিযুক্তদের মধ্যে এনামুল হক ও মো. আবদুর রাজ্জাক বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘ এক বছর দুই মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৯ মে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকাডুবিতে ৬৫ জন মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার ছয়জন বাসিন্দা ছিলেন। এ ঘটনায় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া আবদুল আজিজের ভাই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মুহিদপুরের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে গত বছরের ১৬ মে ২০ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করেন। এ মামলায় গত ১৭ মে ঢাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন এনামুল হক তালুকদার ও মো. আবদুর রাজ্জাক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান বলেন, মানব পাচারকারী চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর তারা তাঁদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকায় ইতালি পাঠাত। চক্রটি লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে টাকাও আদায় করত।