দিয়াবাড়িতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২: র‍্যাব

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‍্যাবের ভাষ্য, তাঁরা মাদকব্যবসায়ী। ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকায় ঢুকছিলেন।

নিহত ওই দুই ব্যক্তির নাম ইব্রাহিম খলিল (৪৫) ও ওমর ফারুক (৩৫)। ইব্রাহিমের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায় আর ওমরের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে।

র‍্যাব বলছে, তাঁদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯০টি ইয়াবা, বিদেশি দুটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, নয়টি গুলি, তিনটি মুঠোফোন, ১০ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় র‍্যাব সদস্য সিপাহী রাসেল আহত হয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব বলছে, ঢাকায় যে কয়জন মাদকব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল একজন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২০১০ সাল থেকে ১৫টি মাদক মামলা রয়েছে। ওমর ফারুক তাঁর সহযোগী। তাঁর বিরুদ্ধেও ১৪টি মাদক মামলা রয়েছে।

র‍্যাব-১–এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দিয়াবাড়ির নৌকাঘাট এলাকায় স্বপ্নতরী বাসের টিকিট কাউন্টারের পাশে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটেছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, দুজন মাদক ব্যবসায়ী ঢাকায় আসছেন। তখন দিয়াবাড়ির ওই স্থানে তাঁরা চেকপোস্ট বসান। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে তাঁরা তল্লাশি চালান। রাত আড়াইটার দিকে ইব্রাহিম খলিল ও ওমর ফারুক একটি মোটরসাইকেলে করে এলে নিয়মিত তল্লাশির জন্য তাঁদের থামতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা তা না করে চেকপোস্ট দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। র‍্যাব সদস্যরা তাড়া করলে ইব্রাহিম ও ওমর তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। র‍্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট দুই পক্ষের গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইব্রাহিম খলিল নরসিংদীতে তাঁর এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানিয়েছেন, ঢাকায় ইব্রাহিমের পোশাক কারখানা আছে বলে তাঁরা জানতেন। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের পরিচয় তাঁরা জানতেন না। তুরাগ থানা পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। ওই থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা আছে।

তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মুত্তাকিন বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। নিহত ব্যক্তিদের তুরাগ থানার পুলিশ শনাক্ত করেছে র‍্যাবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওসি জানান, তাঁরা শনাক্ত করেননি। এই দুজনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় কোনো মামলা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এখনো তা দেখতে পারেননি। তিনি এ বিষয়ে র‍্যাবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।