তরুণদের নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজে সমন্বয়ের অভাব: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

দেশের তরুণ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মধ্যে কাজের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেল গঠনের কথা সুপারিশ করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান ও সাংসদ নাহিম রাজ্জাক এই সুপারিশ করেন। তাঁরা মনে করেন, তরুণদের নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজে সমন্বয়ের অভাব আছে। তাই এই ধরনের সেল করার পক্ষে মত দেন তাঁরা।

আজ শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তাঁরা দুজন এ কথা বলেন।

সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সবাই যুবসমাজ–সহায়ক একটি বাজেটকাঠামো তৈরির পক্ষে মত দেন। করোনা পরিস্থিতিতে তা আরও বেশি জরুরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেক বক্তা।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কাজ করা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। সবাই যেন বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছে। এখন এই সমন্বয়হীনতা অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, তরুণদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে সেল দরকার। তবে তাতে যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না বাড়ে। তাই একটি কার্যকর সেল দরকার।

নাহিম রাজ্জাকও কাজের সমন্বয়ের জন্য একটি সেল করার সুপারিশ করেন। তাঁর মতে, তরুণদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন তথ্য–উপাত্তের অভাব আছে। একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে আনা দরকার। যেমন, শিক্ষাব্যবস্থা কোন অবস্থায় আছে, তা জানা দরকার। ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না বলে মনে করেন সরকারি দলের এই সাংসদ।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।

ফারাহ কবির বলেন, ‘আমরা জনমিতির সুবিধাজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তরুণ জনগোষ্ঠী এখন বেশি। এই জনমিতিক সুবিধা কাজে লাগাতে হবে। তাই যুবসমাজের জন্য বাজেটকাঠামো দরকার। এতে বাজেটে তরুণদের জন্য কী আছে, তা জানতে পারবেন। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মন্ত্রণালয়গুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা দিয়ে সব তরুণের কর্মসংস্থান হবে না। প্রযুক্তি শিক্ষা লাগবে। তাহলে ঘরে বসেই অনেকে উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির নাগাল সহজলভ্য নয়। যেমন, মোবাইল ফোন ব্যবহারে এবার বাড়তি কর বসানো হয়েছে। তাঁর মতে, কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় করোনার পরে কাজ হারানো ব্যক্তিরা সবাই শ্রমবাজারে ফিরে আসতে পারবেন না।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের গবেষক ইশরাত শারমীন।