ভৈরব টানা দুদিন করোনার সংক্রমণশূন্য

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৩ জন কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হন। জুলাইয়ে এসে তা কমতে শুরু করে। শেষ দুই দিনের সংক্রমণ ছিল শূন্য। সংক্রমণশূন্য দুই দিন পার করতে পারায় অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ভৈরবে মোট আক্রান্ত ৫৪৬ জন। মারা গেছেন ১৪ জন। নমুনা পরীক্ষা হয় ২ হাজার ৯১৮ জনের। এরই মধ্যে সোম ও মঙ্গলবার পাঠানো নমুনার ফল এসেছে শূন্য। এই দুদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৩টি। শুধু এই দুদিনই নয়, জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। বিপরীতে জুনের ২১ দিনে আক্রান্ত ছিলেন ৩৯৩ জন।

এই মাসের আরও তিন দিন ছিল সংক্রমণশূন্য। আশাজাগানিয়া পরিবর্তন আসে সুস্থতার পরিসংখ্যানেও। ৫৪৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৯২ শতাংশ। আর মাত্র ৮ শতাংশ সুস্থতা ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

তবে স্বস্তির এই জায়গায় অস্বস্তি হলো নমুনা দেওয়া নিয়ে স্থানীয় লোকদের অনাগ্রহ। জুনে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ হতো, এই মাসে এসে কমে দাঁড়ায় দিনে দশের নিচে। ফলে সংক্রমণের প্রকৃত পরিস্থিতি অজানা থাকছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব। তিনি বলেন, এ কথা সত্য, পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতির দিকে। তবে নমুনা অনেক কমে গেছে। এত কম নমুনা দিয়ে সঠিক সামাজিক সংক্রমণ পরিস্থিতি যাচাই করা কঠিন। এখন বাড়তি দুশ্চিন্তা কোরবানির হাট–পরবর্তী ভয়াবহতা নিয়ে।