জামালপুরে আবার পানি বৃদ্ধি

বন্যার পানির স্রোত জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের ওপর দিয়ে ব্যয়ে যাচ্ছে। মেলান্দহ উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো
বন্যার পানির স্রোত জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের ওপর দিয়ে ব্যয়ে যাচ্ছে। মেলান্দহ উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠঘাট এখনো জলমগ্ন রয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী থাকায় তাদের খাবারের সংকটসহ নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় ২ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

একে একে তিন দফার বন্যায় ১০ লাখ মানুষ এখন বিপর্যস্ত। বেশির ভাগ মানুষ এক মাস থেকে বাড়িছাড়া। সংসারের সবকিছু জলমগ্ন রেখে তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সড়কের পাশে ও সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়েছে। তৃতীয় দফায় পানি খুব বেশি না বাড়লেও এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী। পানি কমে আবার বাড়তে থাকে। ফলে টানা এক মাস সবকিছু জলমগ্ন।

চার মাস ধরে করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের আয়রোজগার নেই বললেই চলে। এ রকম চরম সময়ের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে ফসলের জমি ও বসতবাড়ি। অভাবে দিশেহারা উপার্জনহীন বন্যার্ত মানুষেরা। দুর্গত এলাকায় খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফার বন্যায় সাত উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৮টি পৌরসভাও বন্যাকবলিত হয়েছে। ৬৭৭টি গ্রামের ৯ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ হাজার ৪২৮ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তৃতীয় দফায় বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।