টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ীদের 'গোলাগুলি', নিহত ৪

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ‘গোলাগুলি’তে চারজন নিহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি), ৮টি গুলি ও ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত চারজন হলেন উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আমতলির আবদুল মালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৩), পূর্ব মহেশখালিয়াপাড়ার হাকিম মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২), নয়াবাজারে নূর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২৪) ও খারাংখালীর আবদুল ছালামের ছেলে মোহাম্মদ নাছির (২৩)।

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত চারজনই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তাঁদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাঁরা নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী নাফ নদীর পাড়সংলগ্ন এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

ওসি বলেন, আজ ভোরে নাফ নদীর তীরসংলগ্ন টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকায় দুই দল মাদক কারবারির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও উত্তেজনার খবর পায় পুলিশ। পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে গেলে দুই দল মাদক কারবারির মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা দেখতে পায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চার ব্যক্তি, দুটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি), ৮টি গুলি ও ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে। পরে তাঁদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ্র দেব জানান, হাসপাতালে আনার আগেই চারজন মারা যান। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

ওসি আরও বলেন, লাশ চারটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এক ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গোলাগুলির ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত চারজন নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৭১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ১০৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিকও রয়েছেন।