মুক্তায়নের পথে রঙিন আম

মুক্তায়নের অপেক্ষায় নতুন সংকর জাতের রঙিন আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণা কেন্দ্রে। ছবি: প্রথম আলো
মুক্তায়নের অপেক্ষায় নতুন সংকর জাতের রঙিন আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণা কেন্দ্রে। ছবি: প্রথম আলো

দেশের আমপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা করছে একটি সুখবর। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) থেকে মুক্তায়ন হতে যাচ্ছে সংকর জাতের একমাত্র রঙিন আম। অবসান হবে এমন একটি আমের জন্য দীর্ঘদিনের অপেক্ষার। আকর্ষণীয় রঙের আমটি দেশে উন্নত জাতের রঙিন আমের অভাব মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিতেও অবদান রাখবে বলে আশা করেন আমবিজ্ঞানীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র অর্থাৎ দেশের একমাত্র আম গবেষণা কেন্দ্রে আমটি নিয়ে গবেষণা চলছে ১৫ বছর ধরে। আমটি নিয়ে গবেষণায় যুক্ত কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দীন জানান, ২০০৫ সালে বারি আম-৩ অর্থাৎ আম্রপালি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহ করা রঙিন আম পালমারের মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে আমটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আম্রপালিকে মা ও পালমারকে বাবা ধরে সংকরায়ণ করে Hy-059 লাইন সৃষ্টি করা হয়। আমটির ফলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ১০ বছর ধরে। আমটি লম্বাটে ও মাঝারি আকারের। এর সংগ্রহকাল জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।

আমটির গড় ওজন ২২০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় আমটি রসাল আঁশবিহীন ও বেশ মিষ্টি এবং শাঁস গাঢ় কমলা রঙের। ত্বকের রং মেরুন। মিষ্টতা ২১ ভাগ। ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৪ দশমিক ৬৭ ভাগ।

জমির উদ্দীন জানান, এই আমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই। প্রতিবছরই ফলন দেয়। উচ্চফলনশীল আমটি আমপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় পাকা স্থান করে নেবে বলে আশা করা যায়।

আম গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত জানান, সম্প্রতি আমটি মুক্তায়নের জন্য বারির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এর মুক্তায়ন হবে বলে আশা করা যায়।