গাজীপুরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক মোল্লাবাড়ি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।

নিহত নারী হলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চানপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার ওরফে ফুলি (৩০)। তিনি কালিয়াকৈরে একটি খাদ্যপণ্য তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন।

ওই নারীর স্বামী একই এলাকার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

ওই নারীর ভাবি ও তাঁর সহকর্মী চায়না বেগম বলেন, ঝর্ণা ও জাহাঙ্গীর দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। আট মাস আগে ফুলি ও তাঁর স্বামী মৌচাক মোল্লাবাড়ি এলাকার সাইদ মোল্লার বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন। স্বামী বেকার। স্ত্রীর আয়েই তাঁদের সংসার চলে। মাঝেমধ্যেই নিজের চলার জন্য ঝর্ণার কাছে টাকা চাইতেন জাহাঙ্গীর। স্বামীকে টাকা না দিলে কিংবা বেকার না থেকে চাকরি বা কোনো কাজ করার কথা বললেই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো এবং জাহাঙ্গীর স্ত্রীকে মারধর করতেন।

চায়না বেগম আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জুলাইয়ের অর্ধেক বেতন নিয়ে কারখানা থেকে বাসায় ফেরেন ঝর্ণা। পরে স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাতের খাবার খেয়ে মধ্যরাতে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। আজ ভোর ৫টার দিকে চায়না বেগম রান্নার জন্য ঝর্ণাকে ডাক দেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে বাইরে থেকে ঘরের সিটকিনি আটকানো দেখতে পান। পরে চায়না সিটকিনি খুলে অন্ধকার ঘরের ভেতরে মোবাইলের টর্চ দিয়ে ঝর্ণার গলাকাটা লাশ দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ পর্যায়ে প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে ঝর্ণার দুই পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম এবং গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন।

কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, রাত ১২টার পর যেকোনো সময় স্ত্রীকে খুনের পর ঘরের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাইরে থেকে দরজার সিটকিনি লাগিয়ে স্বামী জাহাঙ্গীর পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।