প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় চলছিল পলিথিন তৈরি

প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানার ভেতরে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কাঁচামাল পাওয়া যায়। সেখানে চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের পলিথিন। আটগাঁও, খাদিমনগর ইউপি, সিলেট শহরতলি, ২৯ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো
প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানার ভেতরে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কাঁচামাল পাওয়া যায়। সেখানে চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের পলিথিন। আটগাঁও, খাদিমনগর ইউপি, সিলেট শহরতলি, ২৯ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো

কারখানার নাম এবিসি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। কিন্তু আড়ালে চলছিল পলিথিন তৈরি। ঈদের বাজারে তিনটি ট্রাকে ভর্তি করে পলিথিন বাজারজাত করার সময় ধরা পড়ে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে পলিথিনসহ ট্রাক তিনটি জব্দ করে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারখানার মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ বুধবার সিলেট শহরতলির খাদিমনগরের আটগাঁও এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর ও র‌্যাব-৯-এর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন হাটবাজারে বাজারজাত করা হচ্ছিল বলে পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাবের সমন্বয়ে সকালে অভিযান চালানো হয়। কারখানার সামনে তখন তিনটি ট্রাকে ভরা পলিথিন বাজারজাত করার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় পলিথিনসহ তিনটি ট্রাকই জব্দ করা হয়। পরে কারখানার ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পলিথিন তৈরির কাঁচামাল মজুত করে চলছিল চাহিদা অনুযায়ী নানা রকমের পলিথিন তৈরি। পরে কারখানা ও গুদাম বন্ধ করে দিয়ে কারখানার মালিক এম এ হামিদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধভাবে পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত করার অপরাধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর আওতায় কারখানার মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে র‌্যাব-৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার ওবাইন, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীরসহ র‌্যাবের একটি দল অংশ নেয়।