তিস্তার পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে

নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর পানি আজ শুক্রবার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

২১ জুলাই তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২২ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত ১৫টি চরাঞ্চল গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ তৃতীয় দফায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ২৩ জুলাই পানি বিপৎসীমার নিচে নামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ২৩ জুলাই থেকে আজ শুক্রবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত পানি ওঠা-নামা করলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে মাঝেমধ্যে তিস্তা চরের বিভিন্ন বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকছে।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মাঝেমধ্যে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে উঠছে। শুক্রবারও বিভিন্ন বাড়িতে পানি ওঠে। বিকেল পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় ১০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১০ সেন্টিমিটার, বেলা ৩টায় ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার। বেলা ৩টায় সেখানে ৫২ মিটার ৫৩ সেন্টিমিটার দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।