ঈদের আনন্দ পৌঁছাল বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষজনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান কোরবানির মাংস পাঠিয়েছেন। শনিবার সকালে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি গরু কোরবানি দেন। মাংসের সিংহভাগই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাঠিয়ে দেন। এতে বন্যাকবলিত মানুষগুলোর মধ্যে ঈদের আনন্দ ফুটে উঠে।

উপজেলার চিলাউড়া উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া সফিক মিয়া বলেন, পরপর তিন দফা বন্যায় বাড়িঘরে পানি উঠেছে। বাধ্য হয়ে তিনি স্ত্রী, ছেলেমেয়ে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। ঈদের আনন্দের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। ইউএনও কোরবানির মাংস নয়, যেন ঈদের আনন্দ পৌঁছে দিয়েছেন তাঁদের পরিবারে। তাঁর মতো আশ্রয়কেন্দ্রের ১০ পরিবার ওই মাংস পেয়েছে।

চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য নবাগত ইউএনওর এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

গত ২৮ জুলাই জগন্নাথপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেহেদী হাসান। প্রথমবারের মতো কর্মস্থলে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কেনেন। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের বাসভবনে গরু কোরবানি দেন তিনি। অল্প কিছু মাংস রেখে বাকিটা হাওরবেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য পাঠিয়ে দেন।

ইউএনও মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ উপজেলায় যোগদান করেই বন্যাকবলিত মানুষজনের দুঃখ-দুর্দশা দেখছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষজনের দুঃখ-কষ্ট দেখে তাঁদের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ শুরু করেন। এরই মধ্যে ঈদ চলে এসেছে। বন্যাদুর্গত মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে মাংস পাঠিয়েছেন।