ঈদ মৌসুমেও চাঙা হয়নি বগুড়ার ব্যবসা-বাণিজ্য

বগুড়ার ঈদ বাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেকটাই ক্রেতাশূন্য বিপণিবিতানগুলো। ঈদের আগের দিন (শুক্রবার) সকালে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। ছবি: সোয়েল রানা
বগুড়ার ঈদ বাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেকটাই ক্রেতাশূন্য বিপণিবিতানগুলো। ঈদের আগের দিন (শুক্রবার) সকালে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। ছবি: সোয়েল রানা

বগুড়া শহরের রাজাবাজারের পাইকারি আড়ত মেসার্স রাজ ভান্ডার। আমদারি করা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, এলাচ—এসবের বড় আড়ত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা। মলিন চেহারার একজন ট্রাকচালক মহাজনের গদির সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘স্যার, মাল লিয়ে যাওয়া লাগবি?’

আড়তের স্বত্বাধিকারী পরিমল প্রসাদরাজের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের হালহকিকত নিয়েই। তিনি ওই ট্রাকচালকের দিকে নির্দেশ করে বললেন, ‘দ্যাখেন ব্যবসার অবস্থাটা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি করা মালামাল যায় রাজধানী ছাড়াও সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরে। নিজস্ব পাঁচটা ট্রাক রয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় বাইরের ট্রাকও ডাকতে হয়। করোনার আগে আমরাই মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাকচালকদের ডেকে আনতাম। এখন ওরাই আড়তে আড়তে ঘুরছে মালামাল পরিবহনের জন্য।’

ট্রাকচালক শহিদুল ইসলামের (৩০) বাড়ি শহরের শৈলালপাড়ায়। বাড়িতে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জন সদস্য। তাঁর একার উপার্জনে সংসার চলে। একদিন ভাড়া না হলে গোটা পরিবারকে উপোস থাকতে হয়। বাধ্য হয়ে ভাড়ার খোঁজে বের হয়েছেন তিনি। ঢাকা বা চট্টগ্রামে একটা খ‍্যাপ মারলেই ৭০০ টাকা মজুরি পান। ২০০ টাকা খাওয়া বাদে দুদিনে উপার্জন ৫০০ টাকা।

গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বগুড়া শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষ। করোনায় মারা গেছেন ১০৪ জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু আরও শ খানেক।

করোনার সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে মার্চ থেকে টানা লকডাউনে ২১ জুলাই পর্যন্ত শহরের বিপণিবিতান, দোকানপাট একরকম বন্ধই ছিল। এরপর দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে, তবে লেনদেন তলানিতে। শহরের ব্যবসা বলতে সিংহভাগই পাইকারি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি দোকান। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তৈরি পোশাক, সিট কাপড়, ফ‍্যাশন হাউস, হোটেল-মোটেল, ফাস্টফুড, সেলুন-পারলার, দই-মিষ্টি, প্রসাধন, প্রিন্টিং প্রেস, কৃষি যন্ত্রাংশ, হালকা প্রকৌশল ও ফুটপাতে হকার্স ব‍্যবসায়। পুঁজি ভেঙে খেতে হচ্ছে ব‍্যবসায়ীদের। বড় ব্যবসায়ীদের অবস্থাও তথৈবচ। শ্রমজীবী আর স্বল্প বেতনের দোকান কর্মচারীরা ধারদেনা করে চলছেন। অনেকেরই দোকানভাড়া তিন-চার মাস ধরে বাকি। কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না।

যে মহাজনের কাছে কাজের খোঁজে এসেছিলেন শহিদুল ইসলাম, সেই পরিমল প্রসাদ বললেন, তাঁর অবস্থা আরও খারাপ। বড় কারবার, ব‍্যাংকে দায়দেনাও বড়। এই মহাজনি আড়তদারি কারবার ছাড়াও তাঁর পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, মসলার আমদানি ব্যবসা রয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের চার মাস বিদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি প্রায় বন্ধই ছিল। এখন স্বল্প পরিসরে পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। অন্যবার কোরবানির ঈদের আগে দেশের ১৫-২০টি মোকামে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, এলাচ যেত। এবার চাহিদা না থাকায় তিন থেকে চারটি মোকামে মসলা জাতীয় পণ্য যাচ্ছে। আবার পণ্যের চালান পাঠিয়েও যথাসময়ে পাঠানো পণ্যের দাম পাননি।

বগুড়ার অর্থনীতি মূলত ব‍্যবসা-বাণিজ্য নির্ভর। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ ক্রেতা ছাড়াও খুচরা দোকানিরা এখানকার পাইকারি আড়ত থেকে কেনাকাটা করতে আসেন এখানে। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিড় করেন এখানকার মার্কেট ও বিপণিবিতানে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার জমেনি ঈদবাজার, ব‍্যবসায় মন্দা। দোকানপাট, ব‍্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতানগুলোও ক্রেতাশূন্য প্রায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে ঘোরাতর মন্দাভাব বিরাজ করছে।

শহরের সবচেয়ে বড় বিপণি কেন্দ্র নিউমার্কেট। প্রায় সাড়ে ৪০০ দোকান নিউমার্কেটকে ঘিরে। করোনার লকডাউনে টানা বন্ধ থাকায় লোকসান সামাল দিতে না পেরে অনেক পোশাকের দোকানমালিকেরা ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলেছেন। বগুড়া নিউমার্কেট মার্চেন্ট অ‍্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, অন‍্যবার রমজানের শুরু থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদরাত পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হতো। পয়লা বৈশাখ আর ঈদুল আজহায় বেচাবিক্রি হতো দেড় শ কোটি টাকা। এবার ঈদুল ফিতরে মার্কেট খোলা ছিল গড়ে সপ্তাহ দেড়েক। এতে গড়ে ৩০ শতাংশ বেচাবিক্রি হয়েছে। আর পয়লা বৈশাখের পুরো সময় মার্কেট বন্ধ ছিল, কোনো ব‍্যবসা হয়নি।

নিউমার্কেটের তৈরি পোশাক ব‍্যবসায়ী ফোরকান আলী ব‍্যবসার ক্ষতির একটি হিসাব দিলেন। তিনি বললেন, গড়ে সাড়ে তিন মাস ব‍্যবসা বন্ধ থাকলেও খরচ গুনতে হয়েছে আগের মতোই। মার্কেটে দুটি দোকান আছে। প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ন্যূনতম দুই হাজার টাকা, ছয়জন কর্মচারীর বেতন বাবদ ৩৬ হাজার টাকা, দোকান ভাড়া, ভ্যাট, আয়কর (টিআইএন), ট্রেড লাইসেন্স ফি, জেলা প্রশাসনের ডিলিং ফি, মার্কেটের নিরাপত্তাসহ সার্ভিস চার্জ, ব্যাংক ঋণের সুদ প্রভৃতি বাবদ গড়ে মাসে দেড় লাখ টাকা খরচ গুনতে হয়েছে। এই ব‍্যবসায়ী বলেন, ৩০ বছর ধরে ব‍্যবসা করি। জীবনে এত বড় সংকটে আর পড়িনি।

বগুড়ার ঈদ বাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেকটাই ক্রেতাশূন্য বিপণিবিতানগুলো। ঈদের আগের দিন (শুক্রবার) সকালে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। ছবি: সোয়েল রানা
বগুড়ার ঈদ বাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেকটাই ক্রেতাশূন্য বিপণিবিতানগুলো। ঈদের আগের দিন (শুক্রবার) সকালে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। ছবি: সোয়েল রানা

শহরের রোমেনা আফাজ সড়কে ‘পদ্মা ফুডস’ নামের ফাস্টফুডের একটি দোকান রয়েছে এমদাদ হোসেনের। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মার্চ থেকেই তাঁর দোকান বন্ধ। এমদাদ হোসেন বললেন, দোকানভাড়া, বিদ‍্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, ব‍্যাংকের সুদ—সব মিলিয়ে মাসে খরচ এক লাখ টাকা। তিন মাসের ওপরে দোকান বন্ধ। এখনো বিক্রি নেই। বাধ্য হয়ে পুঁজি ভেঙে খেতে হচ্ছে। অনিয়মিত হয়ে পড়েছে দোকান কর্মচারীদের বেতনও।

শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় প্রায় ৩০০ শো-রুম, বিপণিবিতান রয়েছে। অধিকাংশই তৈরি পোশাক, বুটিক শপ ও ফ‍্যাশন হাউসের দোকান। আছে জুতার দোকান, শিশুদের পোশাক, পাঞ্জাবি ও শাড়ির শো-রুম। করোনার সংক্রমণ বেশি হওয়ায় রেডজোন চিহ্নিত এই এলাকায় প্রায় চার মাস ধরে ব‍্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ঈদুল ফিতরে সপ্তাহ দেড়েক খোলা থাকলেও ছিল না তেমন বেচাবিক্রি। ২২ জুলাই লকডাউন প্রত‍্যাহারের পর ব‍্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। তবে জমেনি ঈদ মার্কেট। অধিকাংশ দোকানপাট ছিল ক্রেতাশূন্য, ফাঁকা।

একই চিত্র ছিল শহরের রানার প্লাজা, শেখ শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেট, আল আমিন শপিং কমপ্লেক্স এবং রেলওয়ে হকার্স মার্কেটেও। সব মিলিয়ে পোশাক, ফ‍্যাশন, জুতা, স‍্যান্ডেল এবং নিউমার্কেটকেন্দ্রিক ব‍্যবসাপ্রতিষ্ঠানে করোনার চার মাসে ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ব‍্যবসায়ীদের।

অন্যবার ঈদ উৎসবে মেয়েরা সাজগোজ আর রূপচর্চার জন্য ছুটতেন পারলারে। এবার বগুড়া শহরের শতাধিক পারলার ফাঁকা পড়ে আছে। অলস সময় পার করছেন বিউটিশিয়ানরা। করোনার কারণে বিয়ের ধুমধাম আয়োজন ও জন্মদিনের পার্টিও বন্ধ। তাই দুর্দিন পারলার ব্যবসায়। ফলে উপার্জন বন্ধ থাকায় নারী উদ্যোক্তাদের পথে বসার জোগাড়। অনেকেই ঘরভাড়া দিতে পারছেন না। পারলার ব্যবসায় মন্দা বিরাজ করলেও খরচ কমেনি উদ‍্যোক্তাদের। বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন ও ঘরভাড়া বকেয়া পড়েছে।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ‍্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান প্রথম অলোকে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণজনিত কারণে দুই ঈদ ও পয়লা বৈশাখে গড়ে ৩০ শতাংশ বেচাবিক্রি হয়েছে। এতে অনেক দোকানির খরচই ওঠেনি। পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে গেছে। ব‍্যবসা, লাভ নাই—খুব অসহায় অবস্থায় আছেন ব‍্যবসায়ীরা।’

হোটেল, মোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায় মন্দা
করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বগুড়ার হোটেল, মোটেল ও চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ব‍্যবসায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। ২০ মার্চের পর থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চার মাস শহরের আবাসিক হোটেল, মোটেল ও চায়নিজ রেস্তোরাঁ ব‍্যবসা পুরোপুরি বন্ধ। বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসে বিদ‍্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে।

জেলা হোটেল মোটেল ওনার্স অ‍্যাসোসিয়েশনের সদস‍্য ও ম‍্যাক্স মোটেলের ব‍্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম সাকলাইন প্রথম আলোকে বলেন, শহরে ছোট-বড় মিলে প্রায় ১০০ চায়নিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বড় ও অভিজাত শ্রেণির। সব মিলিয়ে মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতিটি চায়নিজ রেস্তোরাঁয় গড়ে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেই হিসাবে এ খাতে গড়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যবার ঈদে চায়নিজ রেস্তোরাঁয় ও হোটেল-মোটেল ভির সামাল দিতে হিমশিম খেতে হতো। এবার অতিথিশূন্য।

মুদ্রণ ব‍্যবসায় বিপর্যয়
প্রতিবছর রাজনৈতিক দলের নেতা আর জনপ্রতিনিধিদের ঈদ শুভেচ্ছার ব‍্যানার, ফেস্টুন আর রঙিন পোস্টার ছাপানোর হিড়িক পড়ত ছাপাখানাগুলোতে। প্রেসের মালিকেরা অর্ডার নিতে হুঁশ পেতেন না। এবার করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ছাপাখানায় কোনো কাজ নেই। চার মাস ধরেই ব্যবসায় মন্দা।

শহরের প্রেসপট্টির একজন ছাপাখানা ব‍্যবসায়ী বলেন, শহরে দুই শতাধিক ছাপাখানা রয়েছে। অন্যবার দুই ঈদ আর পয়লা বৈশাখে শুভেচ্ছার ব‍্যানার, প‍্যানা ও পোস্টার ছাপানোর অর্ডার নিতে হিমশিম খেতে হতো। এবার চার মাস ধরেই ছাপাখানার কাজ বন্ধ।

স্বাভাবিক হয়ে আসছে শিল্পকারখানা
কয়েক বছর ধরে বগুড়ায় গড়ে উঠেছে পাট ও কাগজের কল; রাইস ব্র্যান অয়েল বা ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি তেল, পিভিসি পাইপ, টাইলস, ওষুধ, ফাউন্ড্রি, হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের কারখানা। ছোট-বড় মিলিয়ে এখন প্রায় তিন হাজার কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।

এবার করোনা মহামারির কারণে প্রায় চার মাস শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। এতে করে বিদেশে পণ্য রপ্তানিও বন্ধ ছিল। গত বছর বিদেশে ৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে জুন পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। লকডাউন শিথিল হওয়ার জুলাই মাসে ৭০ শতাংশ শিল্পকারখানায় উৎপাদন চালু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ‍্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, শিল্পকারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। শুধু জুলাই মাসে প্রায় এক কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।