কোরবানির মাংস বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কোরবানির মাংস বিতরণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। আজ রোববার ভোরে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম শাহ আলম মিয়া (৩৪)। তিনি ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক বছর কান্দিপাড়া গ্রামের কিছু মানুষ একত্র হয়ে গরিবের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করে আসছেন। গতকাল শনিবারও তাই করা হয়েছে। ছাত্তার মিয়া নামে গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিতরণপ্রক্রিয়া নিয়ে শাহ আলমের তর্ক হয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে বিকেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কিছু ঘর ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষ চলাকালে লাঠির আঘাতে শাহ আলম গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে শাহ আলমের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্তার মিয়া ও শাহ আলমের হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। এর আগেও তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়।

শাহ আলমের স্ত্রী শেফালি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্তার পক্ষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো নেই। সুযোগ পেলেই ওই পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর নির্যাতন চালায়। ছাত্তার পক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।’

তবে ছাত্তার মিয়া দাবি করেন, ‘শাহ আলমের বংশের লোকজন প্রথমে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা কেবল প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। শাহ আলম মূলত নিজেদের পক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে পরবর্তীতে মারা যান।’

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় শাহ আলমের স্ত্রী শেফালি বেগম বাদী হয়ে আজ হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তিনি ১৫ জনকে আসামি করছেন। মামলার প্রধান আসামি ছাত্তার মিয়া। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।