ঠাকুরগাঁও সীমান্তে যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তের নাগর নদ থেকে আল মামুন (১৯) নামের এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোঁড়া পাথরের আঘাতে মারা গেছেন।

আল মামুন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পশ্চিম হরিনমারি ঠকবস্তি গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আল মামুন পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। গত শনিবার রাতে গরু আনতে তিনিসহ কয়েকজন রত্নাই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ওই সীমান্তের ৩৮২ নম্বর পিলারের ৪ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন তাঁরা। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। পাথরের আঘাতে মামুন আহত হন। সে সময় অন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

আজ সকালে রত্নাই সীমান্তের ৩৮২ নম্বর পিলারের ২ নম্বর সাব পিলার এলাকার নাগর নদে আল মামুনের লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আল মামুনের লাশ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আল মামুনের বাবা সাদেকুল ইসলামের দাবি, মামুনকে পাথর মেরে হত্যা করেছে বিএসএফ।

বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় মামুনের মাথা ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

তবে এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।