দেবহাটা থানার অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে সাহেদ

শুনানি শেষে সাহেদ করিমকে কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা আমলি আদালতে। ছবি: প্রথম আলো
শুনানি শেষে সাহেদ করিমকে কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা আমলি আদালতে। ছবি: প্রথম আলো

সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অস্ত্র মামলায় ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে তাঁকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাহেদ করিম সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের ব্যবসায়ী সিরাজুল করিম ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফিয়া করিমের ছেলে। তাঁর মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরীক্ষা না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ জুলাই ভোরে দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্তে লবঙ্গবতী নদী থেকে সাহেদকে বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিনটি গুলি, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংকের তিনটি এটিএম কার্ডসহ ২ হাজার ৩৩০ ভারতীয় রুপি পাওয়া যায়।

ওই দিন রাত ১১টার দিকে র‌্যাব অস্ত্র আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় মামলা করে। মামলায় সাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া বাচ্চু মাঝি নামের এক ব্যক্তি ও অজ্ঞাতনামা অপর একজনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান দেবহাটা থানার পরিদর্শক উজ্জ্বল কুমার মৈত্র।

২২ জুলাই মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের ওপর ন্যস্ত হয়। মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হন খুলনা র‌্যাব-৬-এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম। তিনি ২৩ জুলাই সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ২৬ জুলাই আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক রাজীব কুমার রায় ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। ২৭ জুলাই সাহেদকে ঢাকা থেকে খুলনায় র‌্যাব কার্যালয়ে আনা হয়। রিমান্ডের অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই তাঁকে দেবহাটার কোমরপুর সীমান্তে আনা হয়েছিল। পরে আবার খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় বলেন, বুধবার দুপুরে সাহেদকে খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় আনা হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁকে সাতক্ষীরা আমলি আদালত-৭-এর কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। পরে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক রাজীব কুমার রায় তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেলা একটার দিকে সাহেদকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ র‌্যাবকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন এবং তা এখন যাচাইবাছাই চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।