করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি: সাবরিনা-আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবরিনা চৌধুরী। সংগৃহীত
আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবরিনা চৌধুরী। সংগৃহীত

টাকার বিনিময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি) এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।

করোনা জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন জেকেজির সাবরিনা ও তাঁর স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী। মামলার অন্য ছয় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা। মামলা থেকে মামুনুর রশীদ নামের আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলা করার ৪২ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু প্রথম আলোকে বলেন, করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আসামিরা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। আসামিদের এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আসামিরা যে অপরাধ করেছেন, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে এই মামলায় দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ সব সময় সচেষ্ট থাকবে।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন কবির ও তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ । পরের দিন ২৪ জুন হুমায়ুন কবির ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবীর জেকেজি হেলথ কেয়ারে চাকরি করার সময় কীভাবে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেছেন, সে ব্যাপারে সবিস্তার তুলে ধরেন। হুমায়ুন কবির জবানবন্দিতে বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ড্রেনে ফেলে দিতেন। এ ছাড়া শফিকুল ইসলামও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকার পুলিশের অপরাধ ও তথ্য প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন প্রথম আলোকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী করোনার নমুনা জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনা ও আরিফুলের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে। মামলায় ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।