তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান। ফাইল ছবি
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান। ফাইল ছবি

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সাংসদ মো. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. রুকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. ছামিউল হক বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলাটি করেন। মেয়র রুকনুজ্জামান সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি বরখাস্ত হয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পৌরসভার মেয়র মো. রুকনুজ্জামান তাঁর ফেসবুক লাইভে গিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা, মিথ্যাচার, অসম্মানজনক ও ভীতি প্রদর্শন করে অপপ্রচার চালান। এতে প্রতিমন্ত্রীর মানহানি ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

মেয়র মো. রুকনুজ্জামান তাঁর ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ড ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি পৌরসভার অনেক উন্নয়ন করেছি। এটা সবাই জানেন। এসব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই আমি উন্নয়নমূলক কাজ করছিলাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমাদের সরিষাবাড়ী আসনের সাংসদ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের অত্যাচারে, তাঁর বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় আজকে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। শুধু আমি নই। এই সরিষাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরাসহ তাঁর (প্রতিমন্ত্রী) একক আধিপত্যের কারণে সরিষাবাড়ীতে আমরা টিকে থাকতে পারছি না। আমার পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি (প্রতিমন্ত্রী)। পৌরসভা থেকে টেন্ডার করেছিলাম। তিনি ইঞ্জিনিয়ারকে তুলে নিয়ে টেন্ডার বাতিল করে দিয়েছেন। পৌরসভার এখন নাজুক অবস্থা।’

মামলার বাদী মো. ছামিউল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাইভে গিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন মেয়র রুকনুজ্জামান। একাধিকবার মেয়র এসব কাজ করেছেন। এতে প্রতিমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই তিনি মামলাটি করেছেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফজলুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে মো. রুকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছামিউল হক নামের একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।