চেয়ারম্যানের নাতজামাইয়ের বাড়ি থেকে ১০০ বস্তা সরকারি গম জব্দ

চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের নাতজামাই কুরবান আলীর বাড়ি থেকে ১০০ বস্তা সরকারি গম জব্দ করেছে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো
চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের নাতজামাই কুরবান আলীর বাড়ি থেকে ১০০ বস্তা সরকারি গম জব্দ করেছে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো

নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের নাতজামাই কুরবান আলীর বাড়ি থেকে আজ বুধবার ১০০ বস্তা (৬ টন) সরকারি গম জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই চেয়ারম্যান ও এক নারী সদস্যকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।

সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের নাতনির বাড়ি থেকে ১০০ বস্তা (৬ টন) সরকারি গম জব্দ করেছে। এ সময় তোফাজ্জল হোসেন ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহনাজ পারভিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।

জব্দ করা গমের বস্তা। ছবি: প্রথম আলো
জব্দ করা গমের বস্তা। ছবি: প্রথম আলো

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, জব্দ করা গম সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা গম। ইউনিয়নের মাঝদিঘা জব্বারের বাড়ি থেকে হুতাই বিল পর্যন্ত ডেরা সংস্কার প্রকল্প বাবদ গমগুলো সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও গমগুলো কীভাবে একজন ব্যক্তির বাড়িতে গুদামজাত করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ স্পষ্ট ধারণা পায়নি। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হলে এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যায় পুলিশ এ ব্যাপারে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুদকের কর্মকর্তা নাটোরে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

বাড়ির মালিক কুরবান আলী সাংবাদিকদের জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন। এ সুযোগে চেয়ারম্যান এ গম তাঁর বাড়িতে রেখে গেছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম রাব্বি বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে জানানো হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। গত অর্থবছরের বরাদ্দ করা গম কেন অর্থবছর শেষ হওয়ার পর বাড়িতে রাখা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সরকারি এসব গম ছাতনী ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী সদস্যের নামে বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও কেন এ গম গুদামজাত করা হয়েছে, তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ওই সদস্য ও চেয়ারম্যান। দুদককে বিষয়টি জানানো হয়েছে।