রস ছাড়াই গুড় বানাতেন তাঁরা...

আখ বা খেজুরের রস ছাড়াই গুড় তৈরির দায়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের দুই গুড় ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: প্রথম আলো
আখ বা খেজুরের রস ছাড়াই গুড় তৈরির দায়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের দুই গুড় ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: প্রথম আলো

আখ বা খেজুরের রস ছাড়াই মণের পর মণ গুড় তৈরির দায়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের দুই গুড় ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে এই দণ্ডাদেশ দেন। এই দুজন হলেন একই গ্রামের মো. তুহিন (৩০) ও জিয়াউর রহমান (৪০)। এ সময় সাড়ে সাত হাজার কেজি ভেজালগুড় জব্দ করা হয়।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মুল বানীন দ্যুতির নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠেও মাড়াইযোগ্য আখ নাই। এ ছাড়া প্রায় সাত মাস আগে খেজুরের রস সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের তুহিন ও জিয়াউর তাঁদের কারখানায় আখের ও খেজুরের গুড় তৈরি করে আসছিলেন। খবর পেয়ে নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের কারখানায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে সাত হাজার কেজি ভেজাল আখের গুড়, তিন কেজি ফিটকারি, চার কেজি ডালডা, ৭০ কেজি চুন ও দুই কেজি হাইড্রোজেন জব্দ করেন। র‌্যাবের সহকারি পুলিশ সুপার মো. রাজিবুল আহসান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা ভেজাল গুড় তৈরির কথা স্বীকার করেন। এ কারণে তাঁদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁরা তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করে ছাড়া পান।

লালপুরের ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মুল বানীন দ্যুতি এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।