সিনহা হত্যা মামলার আসামি ৯ পুলিশ সদস্য কক্সবাজার আদালতে

প্রদীপ কুমার দাশ
প্রদীপ কুমার দাশ

টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণ করতে কক্সবাজার আদালতে গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন।

বেলা ৫টার দিকে প্রদীপ কুমার আত্মসমর্পনের জন্য আদালতে আসেন।

হত্যা মামলা থাকার পরও কেন প্রদীপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, প্রদীপ নিজ থেকেই আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ পাহারা রয়েছে।

সিনহা রাশেদ হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন সিনহার বোন শারমিন। মামলায় তিনি মোট ৯ জনকে আসামি করেছেন। প্রদীপ আদালতে আসার আগে বাকি ৮ আসামিও আদালতে এসেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ওসি প্রদীপ অসুস্থ দাবি করে ছুটি নিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে যান। পরে চট্টগ্রামে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন।

ওসি প্রদীপের বাড়ি চট্টগ্রামে। কক্সবাজারের আগে তিনি চট্টগ্রামের কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জায়গা দখলসহ নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফ মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন ২০১৮ সালে। তিনি উপপরিদর্শক পদে ১৯৯৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। প্রদীপ কুমার দাশ ২০১৯ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পান। এর আগে একাধিকবার রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন তিনি।