তিন দিন পর মিলল একজনের লাশ, ৪ জন এখনো নিখোঁজ

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনায় নৌকাডুবিতে পাঁচ যুবক নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর আজ শনিবার একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর নাম মারুফ হাসান মন্ডল (২৮)। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার চালহরা চরে পাওয়া যায় লাশটি। অন্য চারজন এখনো নিখোঁজ। তাঁরা সবাই টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বাইশকাইল গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার যমুনা নদীতে নৌভ্রমণে গিয়েছিলেন বাইশকাইল গ্রামের ২৭ যুবক। তাঁরা গোপালপুরের সোনামুই ঘাট থেকে ভ্রমণ শুরু করেন। দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় খাওয়াদাওয়া শেষে নৌকা নিয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে যান। বিকেল পাঁচটার দিকে চায়না ঘাটের কিছু দূরে প্রবল স্রোতের পাকে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। ২২ জন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও ৫ জন নিখোঁজ হন। সিরাজগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়েও কাউকে খুঁজে পায়নি।

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, চালহরা চরে লাশ দেখে মাসুদ মিয়া নামের এক জেলে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মারুফের স্বজনেরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। মারুফ বাইশকাইল পূর্বপাড়া গ্রামের সাত্তার মন্ডলের ছেলে।

এখনো নিখোঁজ রয়েছেন গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে হাসিনুর রহমান (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান (২৮), সোহরাব হোসেনের ছেলে শরিফ হোসেন (১৭) এবং কিতাব আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন (১৭)।

গোপালপুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিন দিন ধরে তাঁদের স্বজনেরাও নৌকা নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

গ্রামের পাঁচ যুবক নিখোঁজ হওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামটিতে। গ্রামের একদল মানুষ দুই দিন ধরে নৌকা নিয়ে যমুনায় খুঁজে বেড়াচ্ছে তাঁদের। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা তল্লাশি করেছে নদীতে। শনিবার সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে তল্লাশি।

নিখোঁজ শরিফ হোসেনের ভাই শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁরা কেউ হয়তো বেঁচে নেই। মারুফের মতো লাশটি যদি খুঁজে পাওয়া যেত, তবে গ্রামে নিয়ে গিয়ে পরিবারের সবাইকে সান্ত্বনা দেওয়া যেত। তাঁদের প্রতীক্ষা রয়েছে স্বজনেরাসহ গ্রামের মানুষ।